2019
22 Types of Doctors and What They Do 27 of the Best Website Designs to Inspire You in 2020 9 Top eCommerceTips for 2020 কড়ির ইতিহাস কি করবেন কি খাবেন কোন খাবারগুলি লিভারকে সুরক্ষা দেয়? কোরিয়া লটারি 2020এর রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে করার নিয়ম| Korean Lottery 2020| eps.boesl.gov.bd ঢাকার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ডাক্তারদের যোগাযোগের ঠিকানা ও নাম বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭) বাংলাতদেশ পানি উন্নয় বোর্ড ADMIT CARD-2019। https://rms.bwdb.gov.bd/orms/ বাংলাদেশের ইতিহাস বাঙালি জাতীয়তাবাদ মায়া সভ্যতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে একবার হলেও পরে নিন লিভার সম্যসা হলে কি কি করবেন ? ADC Executive Job। https://app.dutchbanglabank.com/Online_Job/ ADC Senior Executive application form Bangladesh army-joinbangladesharmy.mail.bd Bangladesh Army Job Circular 2020 Bangladesh Army job circular 2020- Join Bangladesh Army Civil-2020 Bangladesh bank Job circular 2020 Best eCommerce website Blogger Templat Free Download Blogger Template Free Download BOESL Lottery Result 2020 | Korea Lottery Result 2020 Dhanmondi Doctors List Dutch-Bangla Bank Job। ADC Manager fceabook ads policy kidney stones-কিডনিতে পাথর সম্পর্কে? lithotripsy-লিথোট্রিপসি কী? Popular Diagnostic Center Popular Diagnostic Center CONSULT SONOLOGIST Doctor List Dhaka Location Popular Diagnostic Center Cardiology Doctor List Dhaka Location Popular Diagnostic Center CHEST MEDICINE Doctor List Dhaka Location The Top 500 Most Popular Websites urinary system work-মূত্রনালী কীভাবে কাজ করে? Website Template Free

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
মায়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত হচ্ছেন সেইসব মানুষ যারা প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতির এবং আধুনিক জনগণ, যারা মেক্সিকোর দক্ষিণে এবং উত্তর-মধ্য আমেরিকাতে বসবাস করতো এবং তারা মায়াভাষী় পরিবারের মানুষ। প্রথমদিকে এর সময় কাল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-২৫০ অব্দ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রাচীন কালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেক মায়া নগরীগুলোতে তাঁরা উন্নতির উচ্চশিখরে পৌঁছেছিল এবং স্প্যানিশদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত পুরো পোস্টক্লাসিক জুড়ে চালিয়ে গিয়েছিল। এটি ছিলো বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘন জনবসতি এবং সংস্কৃতিভাবে গতিশীল একটি সমাজ।[১]



                                                 আজারবাইজানে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রটি প্রাচীন সংস্কৃতির একটি নিদর্শন।
বাংলা প্রত্নতত্ত্ব শব্দটি 'প্র+ত্ন= প্রত্ন' অর্থ- পুরাতন ও 'তৎ+ত্ব= তত্ত্ব'অর্থ-বিজ্ঞান। সমষ্টিগত অর্থ হল, পুরাতন বিষয়ক জ্ঞান। প্রচলিত ধারণায়, বস্তুগত নিদর্শনের ভিত্তিতে অতীত পুনঃনির্মাণ করার বিজ্ঞানকেই প্রত্নতত্ত্ব বলে চিহ্নিত করা হয়। 

উচ্চস্তরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার কারণে এবং সাংস্কৃতিক প্রসারণ করার দরুন অন্যান্য মেসোআমেরিকান সভ্যতার সঙ্গে মায়া সভ্যতাকে অনেক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন, লেখার উন্নতি-সাধন, গ্রন্থারম্ভে উদ্ধৃত বাক্য এবং বর্ষপঞ্জিকা যা মায়ার সঙ্গে উদ্ভূত হয়নি, তবুও তাঁদের সভ্যতা তাঁদেরকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করেছিল। হন্ডুরাসগুয়াতেমালাএল সালভাদরএবং যতদূর দেখা যায় মায়া অঞ্চল থেকে ১০০০ কিলোমিটারের (৬২৫ মাইল) চেয়েও বেশি, মধ্যে মেক্সিকোতেও মায়ার প্রভাব লক্ষ করা যায়। এর বাইরেও অনেক মায়া সভ্যতার প্রভাবান্বিত শিল্প এবং স্থাপত্যের খোঁজ পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের চিন্তাধারার ফলস্বরূপ বরং সরাসরি বাহ্যিক জয়। মায়া জনগণ কখনোই অন্তর্ধান হয়নি, প্রাচীনকালেও না, স্প্যানীয় বিজয়ীদের আগমনের সাথেও না, এবং পরবর্তীতে যখন স্পেনীয়রা আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে তখনও না। আজ, পুরো মায়া অঞ্চল জুড়ে মায়া এবং তাদের বংশধরদে বিস্তার। প্রাক কলম্বীয় এবং ভাবতত্ত্বের জয়ের ঐতিহ্য ও ধারণার পাথক্যসূচক একটি সমষ্টির ফলাফল বজায় রাখার অর্ন্তভুক্তি। অনেক মায়াভাষী তাদের প্রাথমিক ভাষা হিসেবে আজও মায়া ভাষায় কথা বলে। রাবিনাল আচিআচি ভাষায় লিখিত একটি নাটক, যাকে ২০০৫ সালে ইউনেস্কো মানবতার মৌখিক ও স্পর্শাতীত ঐতিহ্যবাহীর শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে ঘোষণা করেছে।

                                                              গোবেকলি তেপের ধ্বংসাবশেষ
গোবেকলি তেপে (তুর্কি: [ɟœbecˈli teˈpe],[১] তুর্কি ভাষায় "লম্বোদর পাহাড়" শব্দের প্রতিশব্দ)[২] হল তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব আনাতোলিয়া অঞ্চলে শানলিউরফা শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মা) উত্তরপূর্বে অবস্থিত একটি প্রত্নক্ষেত্র। টেলটির উচ্চতা ১৫ মি (৪৯ ফু) এবং ব্যাস প্রায় ৩০০ মি (৯৮০ ফু)।[৩] এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৬০ মি (২,৪৯০ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত।


টেল অংশটির মধ্যে ব্যবহারের দু’টি পর্যায় দেখা যায়। প্রত্নক্ষেত্রটির আবিষ্কর্তা ও খননকারী ক্লস স্কিমিট মনে করেন, এই পর্যায় দু’টি খ্রিস্টপূর্ব দশম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের সামাজিক বা অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত পর্যায়।[৪] প্রথম পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগ ক (প্রামৃনক) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময়ে ইংরেজি টি-আকৃতিবিশিষ্ট (T) প্রকাণ্ড প্রস্তরস্তম্ভের বৃত্ত নির্মিত হয়েছিল, যেগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম জ্ঞাত মেগালিথ[৫]
ভূপদার্থবৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ২০টি বৃত্তে ২০০টিরও বেশি স্তম্ভ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটি স্তম্ভের উচ্চতা ৬ মি (২০ ফু) পর্যন্ত এবং ওজন ১০ টন পর্যন্ত। এগুলি বেডরকের মধ্যে কেটে বানানো কৃত্রিম গর্তের মধ্যে বসানো হয়েছিল।[৬] দ্বিতীয় পর্যায়টি প্রাক-মৃৎশিল্প নব্যপ্রস্তরযুগীয় খ (প্রামৃনখ) পর্যায়কালের অন্তর্গত। এই সময় যে স্তম্ভগুলি নির্মিত হয়েছিল সেগুলি তুলনামূলকভাবে ছোটো এবং পালিশ-করা চুনের মেঝে-যুক্ত আয়তাকার ঘরের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল। সেই যুগপর্যায়ের পর এই প্রত্নক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার নবীন স্থাপনাগুলি ধ্রুপদি যুগে নির্মিত।
এই স্থাপনাগুলি কী কাজে লাগত, তার বিবরণ রহস্যাবৃত। ১৯৯৬ সাল থেকে জার্মান আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এখানে খননকার্য চলছে। কিন্তু এখানকার একটি বড়ো অংশে এখনও খননকার্য চালানো হয়নি। ২০১৮ সালে এই প্রত্নক্ষেত্রটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে

বাঙালি জাতীয়তাবাদ


উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
বাঙালি অধ্যুষিত সম্মিলিত বাংলা
বাঙালি জাতীয়তাবাদ হল একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি যার মাধ্যমে প্রাচীন কাল থেকে দক্ষিণ এশিয়াতে বসবাসরত বাঙালি জাতি, তথা বাংলা ভাষাগত অঞ্চলের অধিবাসীদের বুঝানো হয়ে থাকে। বাঙালি জাতি উপমহাদেশের একটি অন্যতম জাতীয়তাবাদী চেতনায় প্রভাবিত এক প্রভাবশালী জাতি। বাঙালি জাতিকে উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রুপকার বলা হয়ে থাকে। অবিভক্ত বাংলা পরবর্তীতে ব্রিটিশ চক্রান্তে বিভক্ত করা হয়। প্রাচীন বঙ্গদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গত্রিপুরাআসাম ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়ের একতাবদ্ধ পরিচয়কে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলা হয় যাদের ইতিহাস অন্ততঃ চার হাজার বছর পুরোনো। এদের মাতৃভাষা বাংলা। ১৯ শতকে উদ্ভূত বাংলার নবজাগরণ এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনবাংলা ভাষা আন্দোলনবাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও একটি অবিভক্ত স্বাধিন বাংলা সৃষ্টি পেছনে প্রধান অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করছে।

ইতিহাস

বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মধ্যে গৌরবজ্জ্বল ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার নবজাগরণ বলতে বাঙালি সমাজের রুপান্তর এবং উন্নয়নে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা প্রচলন শুরু হওয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলা হয়ে ওঠে আধুনিক সংস্কৃতি, বুদ্ধিজীবী ও বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের, রাজনীতি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি অন্যতম প্রাধান কেন্দ্র। প্রথম সামাজিক ও ধর্মীয় পুনর্গঠন যেমন বাংলায় ব্রাহ্ম সমাজ এবং রামকৃষ্ণ মিশন ইত্যাদির নেতৃত্বে ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, শ্রী অরবিন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংস ও স্বামী বিবেকানন্দের মত বিভিন্ন জাতীয় নেতা এবং সংস্কারকগণ। বাংলা সাহিত্য, কবিতা, ধর্ম, বিজ্ঞান এবং দর্শনের বিস্তারের ক্ষেত্রে বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরমাইকেল মধুসুদন দত্ত, শরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসত্যেন্দ্রনাথ বোস, জগদীশ চন্দ্র বোস ও কাজী নজরুল ইসলামের কাজ ব্যাপক অবদান রাখে। ইয়ং বেঙ্গল, এবং যুগান্তর আন্দোলন এবং অমৃত বাজার পত্রিকার মত ভারতের সংবাদপত্রগুলো বুদ্ধিজীবী উন্নয়ন নেতৃত্বে দিয়েছিলো। কলকাতা-ভিত্তিক ভারতীয় ন্যাশনাল এসোসিয়েশন এবং ব্রিটিশ ভারতীয় এসোসিয়েশন ছিল ভারতে প্রথমদিকের রাজনৈতিক সংস্থা।

                                                             ভূচিত্রে পুর্ব এবং পশ্চিম বাংলার অবস্থান দেখানো হচ্ছে

বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
১৯০৫ সালের বিভক্তির জন্য দেখুন, বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)

মুসলিম প্রধান জেলা: দিনাজপুর, রংপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বোগুরা, পাবনা, ময়মেনসিংহ, সিলেট, নাদিয়া, ঢাকা, , ফরিদপুর, বাকেরগঞ্জ, নোয়াখালি, তিপ্পেরা, চট্টগ্রাম।
১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গ ভারতবর্ষ বিভক্তির একটি অংশ হিসেবে ধর্মের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বঙ্গ প্রদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিভক্ত হয়। প্রধানত হিন্দু অধ্যুষিত "পশ্চিম বঙ্গ" ভারত এবং মুসলিম অধ্যুষিত "পূর্ব বঙ্গ" পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়। ৩ জুন পরিকল্পনা বা মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৪৭ সালের ১৪ এবং ১৫ অগাস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান এবং ভারতের নিকট এই নতুন ভাবে বিভক্ত বাংলা প্রদেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান যা পাকিস্তানের প্রদেশ ছিল, তা ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
  • হিন্দু প্রধান জেলা: কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, যশোর, খুলনা।
  • বৌদ্ধ প্রধান জেলা: পার্বত্য চট্টগ্রাম।
চুড়ান্ত ভাগ:
  • পাকিস্তান: পুর্ব দিনাজপুর,রংপুর, রাজশাহি, বোগুরা, পাবনা, ময়মেনসিংহ, সিলেট (বরক ভালী ছাড়া), পুর্ব নাদিয়া, ঢাকা, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, বাকেরগঞ্জ, নোয়াখালি, তিপ্পেরা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম।
  • ভারত: কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, বীর্ভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম দিনাজপুর, পশ্চিম নাদিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, বরাক উপত্যকা(অধুনা আসাম রাজ্যের অংশ)।

কড়ি
উইকিপিডিয়ামুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


  
এক সময় বাংলায় লেনদেন হতো কড়ি দিয়ে। কড়ির প্রচলন ও তার হারিয়ে যাওয়ার নানা গল্প 

কড়ি। সে কালের লেনদেনের নিম্নতম মুদ্রামানের প্রতীক। শব্দটি হিন্দি ‘কৌড়ির’ পরিবর্তিত রূপ। সংস্কৃতে ‘কপর্দ’ অথবা ‘কপর্দক’। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’, ‘হিসাবের কড়ি বাঘে খায় না’, ‘গাঁটের কড়ি’—একদা বহুল জনচল এহেন শব্দবন্ধের অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে বাংলার সমাজে, অর্থনীতিতে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কড়ির ভূমিকা ছিল বিশাল। তখন বাংলার সর্বত্রই কড়ি দিয়ে কেনাবেচা হতো। অথচ আজ সে কড়ির কানা কড়িও মূল্য নেই। 


কড়ি হচ্ছে একধরনের ছোট্ট সামুদ্রিক শামুক। তবে কড়ি বলতে এই প্রানীর শরীরের শক্ত আবরণকে বুঝায়। বাংলায় কড়ি শব্দটি এসেছে সংস্কৃত কপর্দক শব্দটি থেকে। কড়ি দেখতে চকচকে, মসৃন দৃষ্টিনন্দন অনেকটা পোর্সালিনের মতো। প্রকৃতপক্ষে পোর্সালিন শব্দটিও এসেছে প্রাচীন ইতালীয় ভাষার porcellana থেকে যার অর্থ কড়ি।[] প্রাচীনকাল থেকেই শামুকের একটি বিশেষ প্রজাতির দেহাবশেষ বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানেও গহনা তৈরীতে অনেক আচার অনুষ্ঠানে কড়ির ব্যবহার দেখা যায়
১৮৪৫ সালের আঁকা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন আরব বণিক বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে কড়ি ব্যবহার করছে



বর্ণনা

কড়ি দেখতে চকচকে, মসৃন প্রায় ডিম্বাকৃতির হয়। যার একটি দিক চ্যাপ্টা এবং সেদিকে লম্বাটে খাঁজকাটা মুখ থাকে। কড়ি সেমি থেকে ১৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। অনেক কড়ির গায়ে দৃষ্টিনন্দন নকশা দেখতে পাওয়া যায়
মানুষের ব্যবহারে কড়ি

উপমহাদেশে মানুষের ব্যবহারের জন্য যে কড়ি তা মূলত মালদ্বীপের সাগরে পাওয়া একপ্রকার ছোট শামুকের খোল। ভারতে  আফ্রিকায় বিনিময়ের মাধ্য হিসাবে এর ব্যাপক প্রচলন ছিল। দাস ব্যবসায় নিয়োজিত পশ্চিমা জাতির মানুষেরা আফ্রিকায় কড়ির প্রচলন করে। চীন  ইউরোপেও কড়ির ব্যবহার ছিল।নেপালে কড়ি জুয়া খেলায় ব্যবহৃত হত। মধ্যযুগে মঙ্গলকাব্যে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে কড়ির ব্যবহারের উল্লেখ আছে। তখনকার সময়ে শহরে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন থাকলেও গ্রামাঞ্চলে কড়ির প্রচলনই বেশি ছিল। মুঘল সুলতানী আমলে শস্য বা কড়ি যে কোন উপায়ে কর প্রদান করা যেত। সে সময়ে কড়ির হিসাবটি ছিল কড়ি = গণ্ডা, ২০ গণ্ডা = পণ, পণ = আনা, আনা = কাহন কাহন = টাকা (২৮,৮৮০ কড়ি)
১৭৪২ সালে অংকিত কড়ির ছবি


এই ব্লগটি সন্ধান করুন

MKRdezign

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget